বড় খবর- রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুভ সূচনা হয়ে গেল, শুভদিনে।

বড় খবর- রাম মন্দির নির্মাণের কাজ শুভ সূচনা হয়ে গেল, শুভদিনে। ভারতীয় রাজনীতিতে রাম মন্দির ইস্যু গত ৫০০ বছর ধরেই কমবেশি প্রতীয়মান ছিল। ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর সুপ্রিমকোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ সেই বিতর্কে যবনিকা টানে। বহুদিন ধরেই এই বিতর্কিত স্থানটি ভারতীয় রাজনীতির প্রাণকেন্দ্র ছিল। যদিও এই স্থানটি নিয়ে রাজনীতি কয়েকবছরের নয় কয়েকশো বছর ধরেই চলছিল। 

 

বিজেপি যখন এই স্থানটিকে সরাসরিভাবে সমর্থন করে এবং রাম মন্দির স্থাপনের পক্ষে নিজেদের মত প্রকাশ করে তখন থেকেই বিষয়টি আরও রাজনৈতিক প্রাণকেন্দ্রের চলে আসে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের মাধ্যমে এই বিতর্কে যবনিকা ঘটে, এই স্থানের জমির মালিকানা রাম মন্দির কে দেয়ার মাধ্যমে।

 

এরপরে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ সরকারকে ৬ মাসের মধ্যে ট্রাস্ট গঠন করে মন্দির নির্মান শুরু করার নির্দেশ দেয়। সেই মত ট্রাস্টের গঠন আগেই করা হয়ে গিয়েছিল। আর এবার আনুষ্ঠানিক ভাবে মন্দির গড়ার কাজও শুরু হয়ে গেল। আজ পুজো অর্চনার মাধ্যমে নির্মানের কাজের আনুশঠানিক সূচনা হয়। তবে কোরোনা মহামারির কারণে কোন ভিড় জমা হতে দেওয়া হয়নি।

 

এখানে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রিত্বের আমল ৬ বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে রাম মন্দির নির্মাণের কাজ এর শুভ সূচনা করা হলো। উল্লেখ্য ২৬ শে মে এর ২০১৪ সালে প্রথমবারের মতো নরেন্দ্র মোদী ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসে। সেই দিনটাকে সাক্ষী রেখেই ঐতিহাসিক রাম মন্দির নির্মাণের কাজের শুভ সূচনা করা হলো।

 

 

উল্লেখ্য যে বিজেপি দেশের একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা খোলাখুলি অয্যোধ্যায় রাম মন্দিরের পক্ষে ছিল এবং এটি তাদের নির্বাচনী এজেণ্ডার মধ্যে অন্যতম ছিল। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এই শুভসূচনা মাধ্যমে তার দিয়া কথা রাখলেন জনগণের কাছে আরেকবার।

 

যদিও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে আগে তিনি যে সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তার বেশিরভাগই তিনি রেখেছেন। এখানে সবচাইতে উল্লেখযোগ্য হলো কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা এবং দেওয়ানি বিধি। তবে এখানে অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে রাম মন্দির ইস্যু বিজেপি সরকারের অন্যতম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি ছিল। 

আমাদের সাথে থাকতে লাইক দিন…………..