তিনি অর্থনীতির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় বাঙালি হিসেবে এই বিরাল সম্মানে ২০১৯ সালে ভূষিত হলেন । তবে তিনি একা নন, একই সঙ্গে এই বিরাল সম্মানে পেলেন তাঁর স্ত্রী এস্থার ডাফলো এবং মাইকেল ক্রেমার ।
কি কারণে অভিজিৎ নোবেল পুরস্কার পেলেন?
দারিদ্র দূরীকরণ উপর গবেষণার জন্যেই ২০১৯ এ অর্থনীতির পুরস্কার দেওয়া হয়েছে অভিজিৎ সহ বাকি দু-জনকে। নোবেল কমিটি কমেটি তেমটাই জানিয়েছে। সেই সাথে হলেন, সর্বকনিষ্ঠ অর্থনীতিতে নোবেল প্রাপক এস্থার ডাফলো এবং অর্থনীতিতে বিশ্বের দ্বিতীয় মহিলা হিসাবে পুরস্কৃত হলেন। এই তিন জনের গবেষণা বিশ্বকে দারিদ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধের নতুন অস্ত্রের সন্ধান দিয়েছে তেমনটাই বলছে নোবেল কমিটি। তারে গবেষণা অর্থনীতির এটি অন্যতম পাথেয় মডেল যা অর্থনীতির উন্নয়ন গুরুত্বণ নতুন রুপরেখা অংকন করেছে।
কর্ম জীবন
অভিজিৎ বিনায়ক এখন অধ্যাপক হিসেবে ফোর্ড ফাউন্ডেশনের আন্তর্জাতিক এমআইটি-তে কর্মরত আছে। বিশ্বের দারিদ্র নিয়ে গবেষণার জন্যে ২০১৩ সালে ‘আব্দুল লতিফ জামিল পভার্টি অ্যাকশান ল্যাব’ নামে অভিজিৎ এবং এস্থার ডাফলো যুগ্মভাবে একটি ল্যাব’ গড়ে তুলেছিলেন । অভিজিৎ বিনায়কের জন্ম ১৯৬১ সালে মুম্বইয়ে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মিস্টার ব্যানার্জি।
পড়াশুনো
সাউথ পয়েন্ট স্কুলে বিনায়কের তার প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ করেন। অভিজিৎ প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮১ সালে অর্থনীতিতে স্নাতক হন । ১৯৮১ সালেই জহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর পড়তে চলে যান। ১৯৮১ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৩ সালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৮৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন হার্ভার্ড থেকে। ‘ইনফরমেশন ইকোনোমিক্স।’ হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে তার গবেষণার বিষয় ছিল।
জাতিসংঘে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন অভিজিৎ বিনায়ক। ডেভলপমেন্ট অ্যাজেন্ডা কর্মসূচিতে ২০১৫ পরবর্তী রাষ্ট্রপুঞ্জের সচিবের বিশিষ্ট প্রতিনিধি প্যনেলে ছিলেন তিনি। তার লেখা ‘পুওর ইকোনোমিক্স’ বইটি গোল্ডম্যান স্যাকস বিজনেস বুক সম্মানে ভূষিত হয়। তার লেখা মোট চার খানা অর্থনীতি বিষয়ে বিশ্বজুড়ে সমাদৃত।১৯৭২ সালে প্যারিসে নোবেল জয়ী প্রাপক জন্ম, অভিজিতের স্ত্রী এস্থার ডাফলোর গবেষণাও এমআইটি থেকে। দারিদ্র দূরীকরণে সামাজিক নীতি নির্ধারণ’ তার গবেষণার বিষয় ছিল, । সহযোদ্ধা হিসেবে দীর্ঘদিন দু-জনে এক সাথে কাজ করেছেন অভিজিৎ-এস্থার।
মাইকেল ক্রেমার কাজ করছেন হার্ভার্ডে। এসথার ডুফলো ইতিহাস ও অর্থনীতিতে পড়াশোনা করেছেন প্যারিসে। ১৯৯৯ সালে। এমআইটিতে অর্থনীতিতে পিএইচডি করেন।২০১৫ সালে মিস্টার ব্যানার্জি মিজ ডুফলোর সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন প্রথম স্ত্রীর সঙ্গে ছাড়াছাড়ির পর।হার্ভার্ডের অর্থনীতি বিভাগে গেটস প্রফেসর হিসেবে কর্মরত মাইকেল ক্রেমার । মাইকেল ক্রেমার আমেরিকান একাডেমি অব আর্টস অ্যান্ড সায়েন্সেসের ফেলো। ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরামের ইয়াং গ্লোবাল লিডারও মনোনীত হয়েছিলেন তিনি।
বতমানে এই তিনজনই বহু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অর্থনীতি ফেলো হিসেবে কাজ করেছেন এবং বেশ কিছু বইয়ের লেখক। নব্বই লক্ষ সুইডিশ ক্রোনার তিন জনকে সমান ভাগে ভাগ করে দিয়া হবে। বাঙ্গালিদের মধ্যে অমর্ত্য সেন অর্থনীতিতে নোবেল জিতেছিলেন